রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে নগ্ন অডিশনের বিস্ফোরক দাবির পর থেকেই নাকি একের পর এক হুমকি পাচ্ছেন মডেল-অভিনেত্রী সাগরিকা সুমন। বহস্পতিবার এমনই অভিযোগ করেছেন সাগরিকা।
প্রসঙ্গত, পর্নকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজকুন্দ্রা এখন জেলে। রাজের পুলিশি হেফাজতে থাকার পর থেকেই একের পর এক মডেল ও অভিনেত্রী অশ্লীষ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাঁদের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন।
মডেল-অভিনেত্রী সাগরিকা সুমন পুরনো একটি ভিডিওতে দাবি করেন, ২০২০ সালের অগস্টে একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করার জন্য তাঁকে অফার করেছিলেন প্রযোজক রাজ কুন্দ্রা। ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে সাগরিকার সেই ভিডিও রীতিমতো আলোচনায়। যেখানে অভিনেত্রী দাবি করেন, ভিডিও কলের মাধ্যমে অডিশন নেওয়া হয়েছিল তাঁর। তিন ব্যক্তি অডিশন নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন রাজ কুন্দ্রাও। অডিশনে নাকি তাঁকে পোশাক খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপরই সাগরিকার অভিযোগ, নগ্ন অডিশনের কথা ফাঁস করার পর থেকে, বর্তমানে তিনি মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি, আপত্তিজনক এবং হুমকি দিয়ে ফোনকল পেতে শুরু করেন। অভিনেত্রী একটি ভিডিওতে অভিযোগ করেন, ‘আমি বিরক্ত ও হতাশ হয়ে যাচ্ছি কারণ আমি বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ফোন পাচ্ছি। তারা আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমাকে খুন ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। লোকে আমাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করছে যে রাজ কুন্দ্রা কী ভুল করেছে?’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাকে হুমকি দিচ্ছে এবং আমাকে তাদের ব্যবসা বন্ধ করার অভিযোগ করছে। এমনকি বলছে, তোমরা পর্ন ফিল্ম দেখ তাই আমরা এগুলো বানাই’। সাগরিকার কথায়, এসব লোকেদের কারণেই তাঁর প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পুরনো সেই ভিডিওতে নায়িকা সাগরিকা সোনার বক্তব্য ছিল, ‘আমি মডেলিং করি। ইন্ডাস্ট্রিতে ৩-৪ বছর ধরে কাজ করছি। অনেক কাজ করেছি বলতে পারি না। লকডাউনের সময়ে আমার সঙ্গে এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটে, যা আজ বলতে চাই। ২০২০ সালের অগস্ট মাসে উমেশ কামাত আমাকে ফোন করে একটি ওয়েব সিরিজ অফার করেন, যার প্রযোজক রাজ কুন্দ্রা। রাজ কুন্দ্রা কে প্রশ্ন করতেই উনি জানান শিল্পা শেট্টির স্বামী।’ পরে আরও দাবি করেন, ভিডিয়ো কলে অডিশনে নগ্ন হওয়ার কথা শুনতেই তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উল্লেখ্য, পর্নোগ্রাফি ফিল্ম তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রা। গত সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এই মামলায় ইতোমধ্যে পুলিশের জালে ১১ জন ধরা পড়েছেন।
মেডিক্যাল চেক-আপের পর গত মঙ্গলবার মুম্বাইয়ের এসপ্ল্যানেড আদালতে তোলা হয় রাজ কুন্দ্রা এবং তাঁর সহকারী রায়ান থর্পকে। মঙ্গলবার সকালে রাজ কুন্দ্রার সহযোগী রায়ানকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এদিন দুজনেরই জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর করেছে নগর দায়রা আদালত। দুই অভিযুক্তকেই আগামী ২৩শে জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
হিন্দুস্তান টাইমস
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।